[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

জিডিপি ও মাথাপিছু আয় পরিমাপ | SSC Economics

জিডিপি ও মাথাপিছু আয় পরিমাপ আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। জিডিপি ও মাথাপিছু আয় পরিমাপ [Measurement of GDP and per capita income] ক্লাসটি এসএসসি বা ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর [ SSC Class 9 10 ], অর্থনীতি [ Economics ] বিষয়ের, ৬ অধ্যায় [ Chapter ৬ ], জাতীয় আয় ও এর পরিমাপ [ Measurement of National Income ] এর পাঠ।

 

জিডিপি ও মাথাপিছু আয় পরিমাপ

 

মোট দেশজ উৎপাদন ( Gross Domestic Product বা GDP)

একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে মোট যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদিত হয়, তার বাজার দামের সমষ্টিকে মোট দেশজ উৎপাদন বা GDP বলে।
মনে করি, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বছরে তিনটি দ্রব্য উৎপাদিত হয়। যেমন- ১০০ কুইন্টাল ধান, ১০০০ জামা এবং ১০০০ কলম উৎপাদিত হয় ।

জিডিপি = ১০০ কুইন্টাল ধান × ধানের বাজার দাম + ১০০০ জামা × জামার বাজার দাম + ১০০০ কলম × কলমের বাজার দাম। এভাবে কোনো দেশে উৎপাদিত সকল দ্রব্যের পরিমাণকে নিজ নিজ দাম দ্বারা গুণ করে তার সমষ্টি বের করে জিডিপি নির্ণয় করা হয় । তবে ধান থেকে যদি চূড়ান্ত দ্রব্য হিসাবে চাল তৈরি হয়, তাহলে আমাদেরকে হিসাবের সময় ধানের বদলে চাল উৎপাদন এবং চালের দামকে হিসাবে নিতে হবে।

 

মাথাপিছু আয় পরিমাপ

 

মাথাপিছু আয় পরিমাপ

 

মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) মূলত তিনভাবে পরিমাপ করা যায়। যথা: উৎপাদন পদ্ধতি (Production Approach), আয় পদ্ধতি (Income Approach) ও ব্যয় পদ্ধতি (Expenditure Approach)।

১. উৎপাদন পদ্ধতি (Production Approach): একটি দেশের অর্থনীতি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিভক্ত । এসব খাতে এক বছরে উৎপাদিত চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার মূল্য যোগ করে মোট দেশজ উৎপাদ নির্ধারণ করা হয় । বাংলাদেশে অর্থনীতিকে ১৫টি খাতে বিভক্ত করা হয় এবং খাতওয়ারি উৎপাদনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। পরিশেষে ১৫টি খাতের উৎপাদনের মূল্য যোগ করে মোট দেশজ- উৎপাদন নির্ধারণ করা হয় ।

২. আয় পদ্ধতি (Income Approach) : এ পদ্ধতিতে মোট দেশজ -উৎপাদন হলো উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত উপকরণসমূহের প্রাপ্ত আয়ের সমষ্টি । উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মৌলিক উপকরণ ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন। এদের প্রাপ্ত আয় যথাক্রমে খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা। অতএব মোট দেশজ উৎপাদন খাজনা + মজুরি + সুদ + মুনাফা ।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

৩. ব্যয় পদ্ধতি (Expenditure Approach) : এ পদ্ধতিতে জিডিপি হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সমাজের সব ধরনের ব্যয়ের যোগফল । সমাজের মোট ব্যয় বলতে ব্যক্তি খাতের ভোগ ও বিনিয়োগ ব্যয় এবং সরকারি ব্যয় ও নিট রপ্তানিকে বোঝায় । অতএব, ভোগ + বিনিয়োগ + সরকারি ব্যয় + নিট রপ্তানি (= রপ্তানি – আমদানি) = মোট দেশজ উৎপাদন। মোট দেশজ উৎপাদন বা Y= C + I + G + (X-M) এখানে C = ভোগ, I = বিনিয়োগ, G = সরকারি ব্যয়, (X-M) (রপ্তানি – আমদানি) = নিট রপ্তানি ।

উপরিউক্ত তিনটি পদ্ধতিতে পরিমাপকৃত মোট দেশজ উৎপাদন মোটামুটি কাছাকাছি হলে পরিমাপ সঠিক হয়েছে বলে ধরা হয়। গণনা বা হিসাবের ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে খানিকটা পার্থক্য হতে পারে, তবে প্রকৃত অর্থে তা একই ফলাফল বহন করে ।

 

 

 

জিডিপি ও মাথাপিছু আয় পরিমাপ নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment