শ্রমের যোগান ক্লাসটি এইচএসসি বা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনী [ HSC Class 11-12 ], অর্থনীতি ১ম পত্র [ Economics First Paper ] বিষয়ের, ৫ম অধ্যায় [ Chapter 5 ] এর পাঠ। এইচএসসি বা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনী [ HSC Class 11-12 ], অর্থনীতি [ Economics ] এর আরও ক্লাস পেতে যুক্ত থাকুন “অর্থনীতি গুরুকুল [ Economics Gurukul ]” এর সাথে।
শ্রমের যোগান
প্রচলিত মজুরিতে যে পরিমাণ শ্রমিক কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকে, তাকে শ্রমের যোগান বলে।
শ্রমের বৈশিষ্ট্য
১. শ্রম একটি জীবন্ত উপকরণ: শ্রমিকের জীবন আছে তাই শ্রম একটি জীবন্ত উপকরণ বা উপাদান। শ্রমিক যতদিন জীবিত থাকে ততদিন শ্রমের অস্তিত্ব থাকে। কারণ শ্রম ও শ্রমিক একই সূত্রে গাঁথা।
২. শ্রমিক ও শ্রম অবিচ্ছিন্ন: শ্রমিকের মধ্যেই শ্রম দানের ক্ষমতা নিহিত থাকে। শ্রমিক থেকে শ্রমকে বিচ্ছিন্ন করার উপায় নেই। কিন্তু জমির বেলায় জমির মালিক ও জমি ভিন্ন হতে পারে। একইভাবে মূলধনের মালিক ও মূলধন একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের পৃথক অস্তিত্ব আছে।

৩. শ্রমিক শ্রম বিক্রয় করে কিন্তু নিজেকে নয়: একজন শ্রমিক মজুরির বিনিময়ে তার শ্রম বিক্রি করে কিন্তু নিজেকে নয়। যেমন — একটি পশু ক্রয় করলে তার দেহ ও সেবার মালিক হওয়া যায়। কিন্তু মজুরির বদলে একজন শ্রমিকের কেবল সেবাই নেওয়া যায় কিন্তু তার দেহ ও মনের ওপর অধিকার জন্মায় না।
৪. শ্রমের সচলতা: শ্রম একটি গতিশীল উপাদান। একস্থান থেকে অন্যস্থানে শ্রমিক সহজেই চলাচল করতে পারে। তবে ভৌগোলিক বাধা, ভাষা ও সংস্কৃতির পার্থক্য, পরিবহন ব্যয় এসব শ্রমিক চলাচলের ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
৭. শ্রমিকের দরকষাকষির দক্ষতা: শ্রম ক্ষণস্থায়ী এবং সংরক্ষণের অযোগ্য। ফলে অব্যবহৃত শ্রম চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়। শ্রমের এ ক্ষণস্থায়ী বৈশিষ্ট্যের জন্যই শ্রমিক নিয়োগকর্তার সাথে মজুরির হার নিয়ে বেশি দরকষাকষি করতে পারে না। তাই শ্রমিক খুব কম মজুরিতেও কাজ করতে বাধ্য হয়।
১০. শ্রম সক্রিয় উপকরণ: ভূমি ও মূলধন নিজে নিজেই উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে না , তাই এরা নিষ্ক্রিয় উপকরণ হিসেবে গণ্য হয়। মানুষ কর্মপ্রচেষ্টা গ্রহণ করলেই কেবল তারা উৎপাদন করতে পারে । তাই শ্রম একটি সক্রিয় উপকরণ হিসেবে গণ্য হয়।
শ্রমের যোগান নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও পড়ূনঃ