[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

সামগ্রিক আয় ও ব্যয় মূল বিষয়াদি | এইচএসসি অর্থনীতি ১ম পত্র

সামগ্রিক আয় ও ব্যয় মূল বিষয়াদি ক্লাসটি এইচএসসি বা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনী [ HSC Class 11-12 ], অর্থনীতি ১ম পত্র [ Economics First Paper ] বিষয়ের, ৯ম অধ্যায় [ Chapter 9 ] এর পাঠ। এইচএসসি বা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনী [ HSC Class 11-12 ], অর্থনীতি [ Economics ] এর আরও ক্লাস পেতে যুক্ত থাকুন “অর্থনীতি গুরুকুল [ Economics Gurukul ]” এর সাথে।

 

সামগ্রিক আয় ও ব্যয় মূল বিষয়াদি

 

এই পাঠ থেকে শিক্ষার্থীরা যে বিষয় সম্পর্কের ধারণা লাভ করতে পারবে তা হল-

জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি ও সূত্র কয়টি ও কি কি তা জানতে পারবে।  একটি দেশের অর্থনীতি কয়টি খাতে বিভক্ত তা জানতে পারবে। ভারসাম্য জাতীয় আয় নির্ধারণ পদ্ধতি ও সূত্র ।  জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি তিনটি যথা-

Methods of Computing Aggregate Income/ National Income:

 

সামগ্রিক আয় ও ব্যয়

 

১. উৎপাদন পদ্ধতি:

1. Production Method

GNI= x1p1+x2p2+x3p3+…….xnpn

GNI= Gross National Income

x1,x2,x3…..xn হল বিভিন্ন প্রকার উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবাকর্ম।

p1,p2,p3….. pn  হল বিভিন্ন প্রকার  উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবাকর্মের মূল্য।

২. আয় পদ্ধতি

2. Income Method

GNI= R+W+I+π – TP

এখানে, R = খাজনা,W = মজুরি,I = সুদ,π = মুনাফা,TP = হস্তান্তর পাওনা।

উপরোক্ত আয় গোলোর সমষ্টি থেকে আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপ করা হয়।

৩. ব্যয় পদ্ধতি :

Expenditure Method:

GNI= C+I+G+(X-M)

এখানে, C= ভোগ ব্যয়, I= বিনিয়োগ ব্যয়, G = সরকারি ব্যয়, X= রপ্তানি, M = আমদানি, X-M= নিট রপ্তানি।

একটি দেশের অর্থনীতি কয়টি খাতে বিভক্ত হতে পারে যেমন- দুই খাত, তিন খাত, ও চার খাতভিত্তিক অর্থনীতি।

সামগ্রিক ব্যয়ের এ খাতভিত্তিক ধারণাসমূহ নিন্মরূপঃ

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

দুই খাত বিশিষ্ট অর্থনীতিঃ

Two Sector Economy:

 

AE = Y = C+I  (আবদ্ধ অর্থনীতি) (Closed Economy)

তিন খাত বিশিষ্ট অর্থনীতিঃ

Three Sector Economy

AE = Y = C+I+G  (আবদ্ধ অর্থনীতি)  (Closed Economy)

 

চার খাত বিশিষ্ট অর্থনীতিঃ

Four Sector Economy:

AE = Y= C+I+G+(X-M)  (মুক্ত অর্থনীতি) (Open Economy)

ভারসাম্য জাতীয় আয় নির্ধারণ পদ্ধতি ও সূত্র । ভারসাম্য জাতীয় আয় নির্ধারণের দুটি পদ্ধতি রয়েছে যেমন-

প্রথম পদ্ধতিঃ ভোগ ব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যয় এবং আয়ের সমতা দ্বারা ভারসাম্য জাতীয় আয় নির্ণয়।

দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সমতা দ্বারা ভারসাম্য জাতীয় আয় নির্ণয়।

কিভাবে গাণিতিকভাবে ভারসাম্য জাতীয় আয় নির্ধারণ করা হয় তার একটি মডেল  নিচে দেখানো  হল-

জাতীয় আয় মডেলঃ

National Income Model:

 

Y= C+I+G ( সূত্র)

দেওয়া আছে, C= 50 + 0.8Y, I= 30, G=70, যেখানে  C= ভোগ ব্যয়, I= বিনিয়োগ ব্যয়, G =

সরকারি ব্যয়।

এখন ভারসাম্য জাতীয় আয় নির্ধারণের সূত্রানুসারে-

Y= C+I+G হলে

Y = 50 + 0.8Y+30+70  ( সূত্রানুসারে মান বসিয়ে পায় )

বা,  Y=150 + 0.8Y

বা,  Y-0.8Y = 150

বা,  Y(1-0.8) = 150

বা,  0.2Y = 150

বা,   Y = 150/0.2

সুতরাং Y = 750;  এটি ভারসাম্য জাতীয় আয় নির্দেশ করে।

যদি সরকারি ব্যয় 50 টাকা বৃদ্ধি করা হয় তাহলে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সরকারি ব্যয় হবে G=70 + 50 = 120  এবং এর ফলে ভারসাম্য জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাবে যেমন-

 

Y = 50 + 0.8Y+30+120

Y = 50 + 0.8Y+30+120 ( সূত্রানুসারে মান বসিয়ে পায় )

বা,  Y=200 + 0.8Y

বা,  Y-0.8Y = 200

বা,  Y(1-0.8) = 200

বা,  0.2Y = 200

বা,   Y = 200/0.2

সুতরাং Y = 1000;  এটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ভারসাম্য জাতীয় আয় নির্দেশ করে। যদি সরকারি ব্যয় 50 টাকা হ্রাস করা হয় তাহলে হ্রাসকৃত সরকারি ব্যয় হবে  G=70 – 50 = 20  এবং এর ফলে ভারসাম্য জাতীয় আয় হ্রাস পাবে যেমন-

Y = 50 + 0.8Y+30+20

Y = 50 + 0.8Y+30+20 ( সূত্রানুসারে মান বসিয়ে পায় )

বা,  Y=100 + 0.8Y

বা,  Y-0.8Y = 100

বা,  Y(1-0.8) = 100

বা,  0.2Y = 100

বা,   Y = 100/0.2

সুতরাং Y = 500;  এটি হ্রাসকৃত ভারসাম্য জাতীয় আয় নির্দেশ করে।

 

অনুপার্জিত আয়

 

সামগ্রিক আয় ও ব্যয় মূল বিষয়াদি নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment