মাত্রাগত উৎপাদন ক্লাসটি এইচএসসি বা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনী [ HSC Class 11-12 ], অর্থনীতি ১ম পত্র [ Economics First Paper ] বিষয়ের, ৩য় অধ্যায় [ Chapter 3 ] এর পাঠ। এইচএসসি বা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনী [ HSC Class 11-12 ], অর্থনীতি [ Economics ] এর আরও ক্লাস পেতে যুক্ত থাকুন “অর্থনীতি গুরুকুল [ Economics Gurukul ]” এর সাথে।
মাত্রাগত উৎপাদন
“পরিমাণগত উত্পাদন” সাধারণত উত্পাদন বা পরিষেবা সরবরাহের মানসম্মত এবং দক্ষ পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে বা ভলিউমে পণ্য বা পরিষেবা উত্পাদন করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। খরচ এবং অপচয় কমিয়ে আউটপুট সর্বাধিক করার উপর ফোকাস করা হয়।
পরিমাণগত উত্পাদন প্রায়শই অটোমেশন, সমাবেশ লাইন উত্পাদন, এবং অন্যান্য কৌশল ব্যবহার করে যা উত্পাদন প্রক্রিয়াকে স্ট্রিমলাইন করতে এবং দক্ষতা বাড়াতে পারে। লক্ষ্য হল পণ্য বা পরিষেবাগুলি দ্রুত হারে এবং কম খরচে উত্পাদন করা, যাতে সেগুলি প্রতিযোগিতামূলক দামে বিক্রি করা যায়।
কিছু ক্ষেত্রে, পরিমাণগত উত্পাদন ব্যাপক উত্পাদনের সাথে যুক্ত হতে পারে, যার মধ্যে বড় পরিমাণে প্রমিত পণ্য বা পরিষেবার উত্পাদন জড়িত। যাইহোক, এটি উত্পাদনের অন্যান্য ফর্মগুলিকেও উল্লেখ করতে পারে, যেমন কাস্টম উত্পাদন, যা এখনও দক্ষতা এবং আউটপুটকে অগ্রাধিকার দেয়।
সামগ্রিকভাবে, পরিমাণগত উৎপাদনের লক্ষ্য হ’ল পণ্য বা পরিষেবাগুলি দক্ষতার সাথে এবং প্রচুর পরিমাণে উত্পাদন করা, যাতে ভোক্তাদের চাহিদা মেটানো এবং প্রযোজকের জন্য সর্বাধিক লাভ করা যায়।

মাত্রাগত উৎপাদন প্রবাহ (Returns to scale):
আমরা পরিবর্তনীয় অনুপাত বিধিতে দেখেছি, কোন একটি উপকরণ স্থির রেখে অন্যান্য উপাদান পরিবর্তন করলে উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন দেখা যায়। স্বল্প মেয়াদের ক্ষেত্রেই এ ধরণের উপকরণ- উৎপাদন সম্পর্ক দেখানো হয়। কারণ স্বল্প মেয়াদে সব গুলো উপকরণের পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সকল উপাদান একই সংগে পরিবর্তন করা যায়।
উৎপাদনের সকল উপাদান একটি নিদিষ্ট অনুপাতে পরিবর্তন করলে মোট উৎপাদনের পরিমানে যে পরিবর্তন দেখা দেয় তাকে মাত্রাগত উৎপাদন প্রবাহ বলে। এর মাধ্যমে উৎপাদনের সকল উপাদান একই সংগে এবং একই অনুপাতে বৃদ্ধি করে বা হ্রাস করে উপাদান -উৎপাদন সম্পর্ক পরীক্ষা করা হয়।
মাত্রাগত উৎপাদন নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও পড়ূনঃ
- এনসিটিবি মাধ্যমিক ৯ম ও ১০ম শ্রেণির অর্থনীতি
- যমুনা লাইফের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ | সারা সপ্তাহের খবর