[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

মূলধনের গতিশীলতা ও যোগান | এইচএসসি অর্থনীতি ১ম পত্র

মূলধনের গতিশীলতা ও যোগান ক্লাসটি এইচএসসি বা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনী [ HSC Class 11-12 ], অর্থনীতি ১ম পত্র [ Economics First Paper ] বিষয়ের, ৬ষ্ঠ অধ্যায় [ Chapter 6 ] এর পাঠ। এইচএসসি বা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনী [ HSC Class 11-12 ], অর্থনীতি [ Economics ] এর আরও ক্লাস পেতে যুক্ত থাকুন “অর্থনীতি গুরুকুল [ Economics Gurukul ]” এর সাথে।

 

 

মূলধনের গতিশীলতা ও যোগান

 

উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মূলধন। আমরা কোন কিছু করতে চাইলে প্রথমেই আমাদের প্রয়োজন হবে টাকা। এককথায় আমাদের মূলধন প্রয়োজন হয়। মূলধন গঠন, মূলধনের যোগান, মূলধনের গতিশীলতা নির্ভর করে মানুষের পূর্বানুমান, সঞ্চয়ের অভ্যাস এবং দক্ষতার ওপর। কোন দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

 

মূলধনের প্রকারভেদ

 

অর্থনীতিতে মূলধন বলতে মানুষের শ্রমের দ্বারা উৎপাদিত সম্পদের সেই অংশকেই বোঝায় যা পুনরায় উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হয়। মি বয়ার্কের মতে , “ মূলধন হল উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান।” অধ্যাপক জে এফ.সিল বলেন,“ মুলধন হল ভবিষ্যৎ সম্পদ উৎপাদনের জন্য অতীত শ্রমের সংগৃহীত উপাদন” । আধুনিক কালে মূলধনের আওতা ও পরিধি ব্যাপক হয়েছে। উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত মানুষের বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী আয়ের ঐ অংশ মূলধন বলে বিবেচিত হয় যা অধিক উৎপাদনের জন্য পুনরায় উৎপাদন কাজে নিযুক্ত হয়।

মূলধনের বৈশিষ্ট্য

১) উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান: মানুষের শ্রম ও সম্পদের যুক্ত প্রচেষ্টায় মূলধনের সৃষ্টি যা মানুষ অধিক উৎপাদন কাজে নিয়োগ করে।

২) মূলধন উৎপাদনশীল: মূলধনের সাহায্যে উৎপাদন বৃদ্ধি করা য়ায়। মূলধন ছাড়া অধিক উৎপাদন অসম্ভব। অধিক উৎপাদনের জন্য অধিক মূলধনের প্রয়োজন হয়। মূলধন নিয়োগের উপর কোন দ্রব্যের উৎপাদনের পরিমাণ নির্ভর করে।

৩) নিস্ক্রিয় উপাদান: উৎপাদন ক্ষেত্রে মূলধন নিস্ক্রিয় উপাদন হিসেবে স্বীকৃত। শ্রমিকের সাহায্য ছাড়া মূলধন কোন কিছু উৎপাদন করতে পারে না । যেমন- যন্ত্রপাতি নিজে কিছু করতে পারে না। যদি এর সাথে শ্রমিক যুক্ত হয় তবেই উৎপাদন সম্ভব।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

৪) গতিশীল: উৎপাদনের উপাদানগুলোর মধ্যে মূলধন সবচেয়ে গতিশীল। কারণ মূলধন বিভিন্ন খাতে ব্যবহারযোগ্য এবং তা দেশের অভ্যন্তরে কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহজে হস্তান্তরযোগ্য।

৫) মূলধন সমজাতীয় নয়: সব মূলধন সমগুনসম্পন্ন নয়। মূলধন হল স্বতন্ত্র μিয়াসম্পন্ন বিবিধ বস্তুর একটি জটিল সমষ্টি। এর প্রতিটি এককের উৎপাদনশীলতা তথা গুনগত মানের পার্থক্য রয়েছে।

৬) মূলধন অস্থায়ী: মূলধন ক্ষণস্থায়ী উপাদান। সময়ের সাথে সাথে মূলধনের পরিমাণে পরির্বতন আসতে পারে। সময়ের ব্যবধানে বিনিয়োগ বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলে মূলধনের পরিমাণ পরিবর্তন হয়।

৭) মূলধনের উৎপাদন ধরন: মূলধন প্রাকৃতিক সম্পদ নয়। মানুষ তার শ্রমের দ্বারা প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে মূলধন সৃষ্টি করে বলে তার জন্য খরচ করতে হয়। তাই মূলধনের উৎপাদন খরচ আছে।

৮) সঞ্চয় থেকে মূলধনের সৃষ্টি: সঞ্চয় মূলত করা হয় মূলধন গঠনের জন্য। মূলধন গঠন করতে হলে বর্তমানে আয়ের একটা অংশ ভোগের কাজে না লাগিয়ে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে হয়। অর্থাৎ সঞ্চয় যখন বিনিয়োগ করা হয় তখন মূলধন গঠিত হয়।

৯) মূলধন ভবিষ্যৎ আয়ের উৎস: মূলধন উৎপাদন কাজে নিয়োজিত হয়ে দ্রব্য ও সেবার উৎপাদন বাড়ায়। ফলে আয় বৃদ্ধি পায়। তাই মূলধন ভবিষ্যৎ আয়ের উৎস।

১০) অতীত উৎপাদনের ফসল: মূলধন অতীত উৎপাদনের ফসল কেননা অতীত উৎপাদন যদি অধিকতর উৎপাদনের জন্য পুনরায় বিনিয়োগ করা হয় তখন তা মূলধন হিসেবে বিবেচিত হয়।

 

মূলধনের গতিশীলতা ও যোগান

 

মূলধনের গতিশীলতা ও যোগান নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment