[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

অর্থনৈতিক কার্যাবলি ও অ-অর্থনৈতিক কার্যাবলি

অর্থনৈতিক কার্যাবলি ও অ-অর্থনৈতিক কার্যাবলি আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “এনসিটিবি মাধ্যমিক ৯ম ও ১০ম শ্রেণির অর্থনীতি” এর  “অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসমূহ” দ্বিতীয় অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।

 

অর্থনৈতিক কার্যাবলি ও অ-অর্থনৈতিক কার্যাবলি

বেঁচে থাকার জন্য মানুষ নানাবিধ কাজ করে। এসব কাজের মূল লক্ষ্য হলো জীবিকা সংগ্রহ করা । জীবিকার জন্য কেউ কল-কারখানায়, কেউ অফিস বা কেউ জমিতে কাজ করে । জীবিকা সংগ্রহ ছাড়াও মানুষ খেলাধুলা, চিত্তবিনোদন বা সন্তান প্রতিপালনের মতো কাজও করে । আবার অনেকে সমাজবিরোধী কাজের সাথেও জড়িত থাকে । উপরের সবগুলো কাজকে আমরা অর্থনৈতিক কাজ বলব না । উপরের এ কার্যাবলি আমরা দুভাবে ভাগ করি। যেমন- ক) অর্থনৈতিক কার্যাবলি, খ) অ-অর্থনৈতিক কার্যাবলি ।

 

 

ক) অর্থনৈতিক কার্যাবলি

মানুষ জীবিকা সংগ্রহের জন্য যে কার্যাবলি করে থাকে, তাকে অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলা হয় । অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষ অর্থ উপার্জন করে এবং জীবনধারণের জন্য তা ব্যয় করে । যেমন- শ্রমিকরা কলকারখানায় কাজ করে, কৃষকরা জমিতে কাজ করে, ডাক্তার রোগীদের চিকিৎসা করে, শিল্পপতিরা শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে এগুলো হলো অর্থনৈতিক কাজ । মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল প্রেরণা হলো দ্রব্যসামগ্রীর অভাব পূরণ করা— নতুন দ্রব্য ও সেবা পণ্য সৃষ্টি করা।

 

খ) অ-অর্থনৈতিক কার্যাবলি

যে সমস্ত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্থ উপার্জিত হয় না এবং তা জীবনধারণের জন্য ব্যয় করা যায় না তাকে অ-অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বলা হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানুষের অভাব পূরণ করলেও অর্থ উপার্জনে ভূমিকা রাখতে পারে না । যেমন- পিতামাতার সন্তান লালন-পালন, শখের বশে খেলাধুলা করা ইত্যাদি অ-অর্থনৈতিক কাজের উদাহরণ ।

 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যাবলি

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশের অর্থনীতি ৩টি খাতের উপর নির্ভরশীল – কৃষি, শিল্প এবং সেবা। তবে সাম্প্রতিককালে জাতীয় আয়ে শিল্প ও সেবা খাতের অবদান ক্রমেই বাড়ছে । জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান ক্রমশ কমছে।

কৃষি সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কার্যাবলি : বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থানের দিক থেকে কৃষিই এখন বড় খাত হিসেবে পরিচিত। এ দেশের শ্রমশক্তির প্রায় ৫০% শ্রমিক এ খাতে নিয়োজিত। জনসংখ্যার প্রায় ৭৫% মানুষ কৃষির সংঙ্গে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত । জমিচাষ, বীজ বপন, পানি সেচ, সার দেওয়া, কীটনাশক ঔষধ ছিটানো, ফসল কাটা, ফসল বিক্রয়, পশু পালন, মাছ চাষ, মাছ ধরা, মাছ বিক্রয়, হাঁস-মুরগি প্রতিপালন, বিভিন্ন রকম তরিতরকারি ও ফলমূল উৎপাদন ও বিক্রয়ের মতো কাজগুলো কৃষিখাতের অন্তর্ভুক্ত ।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

কৃষি বহির্ভূত অর্থনৈতিক কাজ : কৃষিকাজ ছাড়াও এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক কাজগুলো হলো পোশাক শিল্পের কাজ, বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের কাজ, বড় বড় শিল্প ও কল-কারখানার কাজ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন চাকরি, রাস্তাঘাট ও রেললাইন নির্মাণ, যানবাহন চালনা, ছোট-বড় ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি কাজ । এ ছাড়া খেলনা, পুতুল ও মিষ্টি তৈরি, দর্জি, কামার, স্বর্ণকার, চর্মকার, তাঁতি, কাঠুরিয়া, ফেরিওয়ালার কাজ করে এ দেশের অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকে । অনেকে গ্রাম্য ডাক্তারি, কবিরাজি, ঝাড়ফুঁক, বন্য প্রাণীর খেলা দেখানো ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে ।

বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত বিচিত্র ধরনের । অতি প্রাচীন কাল থেকে বিচিত্র এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এ দেশের মানুষ সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।

 

অর্থনৈতিক কার্যাবলি

 

 

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment