[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা ও তাদের ভূমিকা | SSC Economics

বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা ও তাদের ভূমিকা আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা ও তাদের ভূমিকা [ The banking system of Bangladesh and their role ] ক্লাসটি এসএসসি বা ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর [ SSC Class 9 10 ], অর্থনীতি [ Economics ] বিষয়ের ৭ম অধ্যায় [ Chapter 7 ], অর্থ ও ব্যাংক-ব্যবস্থা [Finance & Banking System] এর পাঠ।

 

বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা ও তাদের ভূমিকা

 

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হলেও এর ব্যাংকিং ব্যবস্থা কিছুটা দুর্বল। বিশেষ করে রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংকগুলো বছরের পর বছর লোকসান গুনছে,  দিতে পারছে না কাঙ্ক্ষিত গ্রাহক সেবা এবং বেড়ে চলছে খেলাপি ঋণের পরিমান।  অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যাংকগুলো অন্যান্য উন্নত দেশের ব্যাংকিং কাঠামো অনুসরণ করতে চাইলেও বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু অনভিজ্ঞ এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত নীতিনির্ধারকদের জন্য তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

 

বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা ও তাদের ভূমিকা

 

যার ফলে ক্ষমতাবান রাজনৈতিক এবং অপরাধীরা দুর্নীতি ও অর্থ-পাচারের মত কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই পরিচালনা করছে আর অন্যদিকে সাধারণ জনগণ ও বিদেশে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক লেনদেন এবং গ্রাহক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যেটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে ৬১টি তালিকাভুক্ত ও ৫ টি অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক নিয়ে এদেশের ব্যাংক ব্যবস্থার পরিচালিত হচ্ছে। তালিকাভুক্ত ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ৬টি রাষ্ট্রয়াত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪২টি ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ৯টি বিদেশি ব্যাংক।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

স্বাধীনতার সময়ে (১৯৭১) ব্যাংকিং খাত গঠিত হয়েছিলো তৎকালীন স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের দুটি শাখা আর ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক নিয়ে; যার মধ্যে দুইটি বাংলাদেশের স্বার্থে এবং তিনটি পশ্চিম পাকিস্তানিদের স্বার্থ ছাড়া বাদবাকি বিদেশীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতো। এছাড়াও তখন ছোটখাটো আরও চৌদ্দটি বাণিজ্যিক ব্যাংক ছিল।

প্রকৃতপক্ষে, সকল ব্যাংকিং সেবাসমূহ শহুরে এলাকাতে সেবার মানোন্নয়নে মনোযোগী হতে লাগলো। নতুন স্বাধীন সরকার তড়িঘড়ি করে তৎকালীন স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখাকে বাংলাদেশ ব্যাংক নামকরণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ঘোষণা করে। মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রণ, ঋণহার নিয়ন্ত্রণ, মূদ্রানীতি প্রণয়ন, মুদ্রা বিনিময় নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দেখভালের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর দেয়া হল। শুরুতেই বাংলাদেশ সরকার সমস্ত দেশীয় ব্যাংকিং খাতকে জাতীয়করণ এবং বিভিন্ন ব্যাংকের পুনর্গঠন ও নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করে।

 

 

বৈদেশিক মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে ব্যবসা করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। বীমা ব্যবসাকেও জাতীয়করণ করা হয় এবং ততদিনে এটি একটি সম্ভাব্য বিনিয়োগের উৎস হয়ে ওঠে। সমবায় ঋণ আর সঞ্চয় সংস্থাগুলো ছোট ছোট ব্যক্তিগত ও গ্রামীণ একাউন্টগুলো দেখভাল করেছিল। ইতোমধ্যে নতুন ব্যাংকিং খাত বৈদেশিক বিনিময় ও ঋণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সফলতা এবং দক্ষতা অর্জন করে। ১৯৭০-এর দশকে ঋণ ব্যবস্থার প্রাথমিক কাজ ছিল মূলত বাণিজ্য এবং সরকারী খাতে অর্থায়ন করা, যা ছিল মোট ঋণের প্রায় ৭৫%।

 

বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা ও তাদের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment